ঢাকা ১২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সিএনজি চালকের মরদেহ উদ্ধার পঞ্চগড়ে জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল রাণীশংকৈলে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্র উদ্বার, মাদক কারবারির ১ বছর কারাদণ্ড দেবীগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচ দিয়ে আমন চারা রোপন করেছে কৃষক নাটোরে জিয়া পরিষদ ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহীতে অস্ত্র মামলার ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাদকসহ গ্রেপ্তার দিনাজপুরে কেবিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ’র মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল রাণীনগরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত বাগাতিপাড়ায় ফারিয়া’র নির্বাচনে নিজের ভোটও না পাওয়া প্রার্থী এবার হলেন সভাপতি দরিদ্র্যতা দমাতে পারেনি জুঁইকে, এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫, স্বপ্ন দেখেন ডাক্তার হওয়ার

অবহেলা আর অযত্নে হারানোর পথে হরিপুর রাজবাড়ি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১ ৩০০ বার পড়া হয়েছে
চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাজমুল হোসেন, চ্যানেল এ নিউজঃ
ঠাকুরগাঁও জেলা শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে হরিপুর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে হরিপুর রাজবাড়ি।
১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে এই অট্টালিকার নির্মাণ কাজ শুরু করেন রায় ঘনশ্যাম কুন্ডুর বংশধর কেন্দ্র রায় চৌধুরী। আর এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন তার পুত্র যোগেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরী।
যোগেন্দ্র নারায়ণের সমাপ্তকৃত রাজবাড়িটি দ্বিতল ভবনের লতা পাতার নকশা এবং পূর্ব দেওয়ালের শীর্ষে রাজশ্রী যোগেন্দ্র নারায়ণের চৌদ্দটি আবক্ষ মূর্তি রয়েছে।
রাজশ্রী যোগেন্দ্র বিদ্যানুরাগী ছিলেন জন্য গ্রন্থগারও নির্মাণ নির্মাণ করা হয় সে সময়।ভবনটির পূর্ব পাশে একটি শিব মন্দির এবং মন্দিরের সামনে নট মন্দির রয়েছে।
১৯০০ সালের দিকে ঘনশ্যামের বংশধররা বিভক্ত হলে হরিপুর রাজবাড়ি টি দুটি অংশে বিভক্ত হয়।
এই ঐতিহাসিক রাজবাড়িটি এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। দেখার নেই কেউ ! অবহেলা আর অযত্নে ঐতিহাসিক রাজবাড়িটি আজ যেন বিড়ান বাড়ি।
তবুও এই ঐতিহাসিক স্থানটিতে ঠাকুরগাঁও সহ দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ ঘুরতে আসে। স্থানীয়দের দাবি এই ঐতিহাসিক রাজবাড়ীটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করে ঐতিহ্য ধরে রাখা সরকারের পাশাপাশি স্থানীয়দের এগিয়ে আসা উচিত ।
ঐখানকার স্থানীয়রা বলেন, বর্তমান সরকার এ রাজবাড়ী টিকে সংস্কার করে বিনোদনের স্থান দিতে পারেন। আমরা বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় বসবাস করি আমরা গরীব মানুষ আমাদের ছেলেমেলেরা  বিনোদনের জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন না। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের জোর দাবি এই রাস্তাটি সংস্কার করে বিনোদনের স্থান করার জন্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

অবহেলা আর অযত্নে হারানোর পথে হরিপুর রাজবাড়ি

আপডেট সময় : ১২:২৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১

নাজমুল হোসেন, চ্যানেল এ নিউজঃ
ঠাকুরগাঁও জেলা শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে হরিপুর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে হরিপুর রাজবাড়ি।
১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে এই অট্টালিকার নির্মাণ কাজ শুরু করেন রায় ঘনশ্যাম কুন্ডুর বংশধর কেন্দ্র রায় চৌধুরী। আর এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন তার পুত্র যোগেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরী।
যোগেন্দ্র নারায়ণের সমাপ্তকৃত রাজবাড়িটি দ্বিতল ভবনের লতা পাতার নকশা এবং পূর্ব দেওয়ালের শীর্ষে রাজশ্রী যোগেন্দ্র নারায়ণের চৌদ্দটি আবক্ষ মূর্তি রয়েছে।
রাজশ্রী যোগেন্দ্র বিদ্যানুরাগী ছিলেন জন্য গ্রন্থগারও নির্মাণ নির্মাণ করা হয় সে সময়।ভবনটির পূর্ব পাশে একটি শিব মন্দির এবং মন্দিরের সামনে নট মন্দির রয়েছে।
১৯০০ সালের দিকে ঘনশ্যামের বংশধররা বিভক্ত হলে হরিপুর রাজবাড়ি টি দুটি অংশে বিভক্ত হয়।
এই ঐতিহাসিক রাজবাড়িটি এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। দেখার নেই কেউ ! অবহেলা আর অযত্নে ঐতিহাসিক রাজবাড়িটি আজ যেন বিড়ান বাড়ি।
তবুও এই ঐতিহাসিক স্থানটিতে ঠাকুরগাঁও সহ দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ ঘুরতে আসে। স্থানীয়দের দাবি এই ঐতিহাসিক রাজবাড়ীটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করে ঐতিহ্য ধরে রাখা সরকারের পাশাপাশি স্থানীয়দের এগিয়ে আসা উচিত ।
ঐখানকার স্থানীয়রা বলেন, বর্তমান সরকার এ রাজবাড়ী টিকে সংস্কার করে বিনোদনের স্থান দিতে পারেন। আমরা বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় বসবাস করি আমরা গরীব মানুষ আমাদের ছেলেমেলেরা  বিনোদনের জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন না। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের জোর দাবি এই রাস্তাটি সংস্কার করে বিনোদনের স্থান করার জন্য।