ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ আ’লীগ-বিএনপির রাজনীতি- জিএম কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১ ২৯১ বার পড়া হয়েছে
চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চ্যানেল এ নিউজ ডেস্কঃ
দেশের মানুষ সরকার পরিবর্তনের বদলে রাজনীতির পরিবর্তন চায়। তাই সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনে দেশের মানুষ অংশ নিচ্ছে না। সাধারণ মানুষ জানে, আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন আরো বেড়ে যাবে। কারণ, আ’লীগ ও বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আ’লীগ ও বিএনপিকে আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না এদেশের জনগণ। আ’লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশে অনেক বেশি সুশাসন দিতে পারবে। আর তাই জাতীয় পার্টির দিকে এক বুক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে দেশের সাধারণ মানুষ।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে প্রেসিডিয়াম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।
এসময়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতি জাতীয় পার্টির হাত ধরেই এগিয়ে যাবে। জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেউ কিছু করতে পারবে না। তিনি বলেন, খুব অল্প সময় আছে, তাই দ্রুততার সাথে তৃণমূলে জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে জাতীয় পার্টি।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে আরো বলেন, দেশ পরিচালনায় আ’লীগ এতটাই ব্যস্ত যে রাজনীতির মাঠে তারা নেই বললেই চলে। আবার বিএনপি ইতোমধ্যেই অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু রাজনীতির মাঠে জাতীয় পার্টি অনেক সোচ্চার ভাবে সক্রিয় আছে। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও জাতীয় পার্টি সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই নির্বাচনের মাঠে আছে। আমরা নির্বাচনে জয়ী হতেই শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লড়াই করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টি সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকছে। জাতীয় পার্টি নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়েই রাজনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আ’লীগ-বিএনপির রাজনীতির বাইরে জাতীয় পার্টির রাজনীতি। তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের ৯০ ভাগ মানুষের হৃদয়ের প্রত্যাশা পূরণ করতেই ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা সহ সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু কেউ যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, আমরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করবো। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে চাইলে আমরা তা প্রতিহত করবোই।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব অ্যাড. মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাড. সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, আলহাজ্ব সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডঃ শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মিঃ সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশীদ সরকার, আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখ্ত, নাজমা আখতার এমপি, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, নাসির উদ্দিন মাহমুদ, মোঃ জহিরুল ইসলাম, ক্কারী মোঃ হাবিবুল্লাহ বেলালী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ আ’লীগ-বিএনপির রাজনীতি- জিএম কাদের

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

চ্যানেল এ নিউজ ডেস্কঃ
দেশের মানুষ সরকার পরিবর্তনের বদলে রাজনীতির পরিবর্তন চায়। তাই সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনে দেশের মানুষ অংশ নিচ্ছে না। সাধারণ মানুষ জানে, আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন আরো বেড়ে যাবে। কারণ, আ’লীগ ও বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আ’লীগ ও বিএনপিকে আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না এদেশের জনগণ। আ’লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশে অনেক বেশি সুশাসন দিতে পারবে। আর তাই জাতীয় পার্টির দিকে এক বুক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে দেশের সাধারণ মানুষ।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে প্রেসিডিয়াম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।
এসময়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতি জাতীয় পার্টির হাত ধরেই এগিয়ে যাবে। জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেউ কিছু করতে পারবে না। তিনি বলেন, খুব অল্প সময় আছে, তাই দ্রুততার সাথে তৃণমূলে জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে জাতীয় পার্টি।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে আরো বলেন, দেশ পরিচালনায় আ’লীগ এতটাই ব্যস্ত যে রাজনীতির মাঠে তারা নেই বললেই চলে। আবার বিএনপি ইতোমধ্যেই অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু রাজনীতির মাঠে জাতীয় পার্টি অনেক সোচ্চার ভাবে সক্রিয় আছে। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও জাতীয় পার্টি সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই নির্বাচনের মাঠে আছে। আমরা নির্বাচনে জয়ী হতেই শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লড়াই করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টি সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকছে। জাতীয় পার্টি নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়েই রাজনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আ’লীগ-বিএনপির রাজনীতির বাইরে জাতীয় পার্টির রাজনীতি। তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের ৯০ ভাগ মানুষের হৃদয়ের প্রত্যাশা পূরণ করতেই ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা সহ সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু কেউ যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, আমরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করবো। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে চাইলে আমরা তা প্রতিহত করবোই।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব অ্যাড. মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাড. সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, আলহাজ্ব সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডঃ শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মিঃ সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশীদ সরকার, আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখ্ত, নাজমা আখতার এমপি, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, নাসির উদ্দিন মাহমুদ, মোঃ জহিরুল ইসলাম, ক্কারী মোঃ হাবিবুল্লাহ বেলালী।